আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচটায় যে ভিন্ন কিছু করতে চলেছেন, তা ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় ইঙ্গিত দেন মোহাম্মদ আল-ওয়াইস। লিওনেল মেসির করা একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক। এরপর অবশ্য আর্জেন্টিনার মুহুর্মুহু আক্রমণে অনেকটা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে গোটা সৌদি শিবির। সেই সাথে ওয়াইসও।

প্রথমার্ধে আরো বেশ কয়েকটি বল আটকালেও, অতিমানবীয় হয়ে ওঠেননি। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে ওয়াইসের সহায় হয়েছে ভাগ্য। লাউতারো মার্টিনেজ, মেসিদের করা ৩টি গোলই অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। তারপরও প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন ১ - ০।

সৌদি গোলরক্ষকের আসল জাদুটা দেখা গেছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। গোলপোস্টের নিচে যেন চীনের প্রাচীর বনে গেলেন তিনি। একের পর এক আর্জেন্টাইনদের শট আটকে দেন ওয়াইস। গোল বাঁচাতে এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠেন যে, নিজের সতীর্থকে পর্যন্ত আঘাত করে বসেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নিজের জালো আর বল জড়াতে দেননি তিনি। জয়ের নায়ক হয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ওয়াইস।

৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই গোলরক্ষক ক্যারিয়ারের লম্বা সময় কাটিয়েছেন নিজ দেশের ক্লাব আল-শাবাবে এবং আল-আহলিতে। পরবর্তীতে অবশ্য দল বদলে যোগ দেন আল-হেলালে। সৌদির হয়ে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও ছিলেন ৩১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। কিন্তু ওয়াইসের ৪৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে, সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচটাই খেলে ফেললেন এদিন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ম্যাচের পর প্রশংসায় ভাসছেন এই গোল রক্ষক।