দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিং কান্ডে জড়িত থাকার কারনে আজীবনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের পদ থেকে নির্বাসন দেওয়া হয় ডেভিড ওয়ার্নারকে। যা নিয়ে এর আগেও হতাশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। এবার তিনি নিজেকে ' অপরাধী নন বলেও দাবী করলেন।

অধিনায়কের পদ থেকে আজীবনের নির্বাসন দেওয়া একটু কঠোর বলেই দাবি করেন তিনি। ওয়ার্নার বলেন, " আমি তো অপরাধী নই। কোনো না কোনো পর্যায়ে গিয়ে আপিল করার অধিকার থাকা উচিত। আমি বুঝি যে তারা একটা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবে কাউকে আজীবনের জান্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা একটু কঠোরই হয়ে যায়। "

তবে সম্প্রতি নিজেদের আচরণবিধির নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের দেওয়া শাস্তির বিপক্ষে আপিলও করা যাবে। এ নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, " এখানে আসতে এতটা সময় লাগল। আমার মনে হয়, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ব্যাপারটি আলোচনায় এসেছিল। তখন সেটি মিলিয়ে গেল। আমার জন্য ব্যাপারটি আঘাতের মতো। একই সঙ্গে আমার পরিবার এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই। "

ওয়ার্নার আরো বলেন, " প্রথম যখন ব্যাপারটি ৯ মাস আগে সামনে আনা হলো, তখনই এটি ( সমাধান) করা যেত। হতাশার ব্যাপার। ফিঞ্চি ( ফিঞ্চ) অবসর নেওয়ার পর তারা নিজেদের মতো করে তড়িঘড়ি করল, যেটি দুর্ভাগ্যজনক। ২০১৮ সালে যখন আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন, চার দিনের মধ্যেই নিলেন। আর এখন এটির জন্যই ৯ মাস লেগে গেল। এটা তো একটু হতাশারই। দেখে মনে হবে, আমি একধরনের প্রচারণায় নেমেছি, যে ধারণাটা ভুল। আমার দিক থেকে তাই ব্যাপারটা হতাশার। "

তবে বোর্ডের নিয়ম মেনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান ওয়ার্নার " এখন যেখানে আছি, সেটি ভালোই। কথা বলার একটি সুযোগ এসছে। ১০০ ঘন্টার সামাজিক কাজ করেছি ২০১৮ সালের ওই ঘটনার জন্য। যেসব সদাচারণ করেছি, সেগুলোও বলতে হবে। তা বলতে আমার ভালোই লাগবে। "

তবে দেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইপিএলে অধিনায়কত্ব করেন ওয়ার্নার। আর সিডনির হয়ে সুযোগ এলে দায়িত্ব নিতে চান বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, " তারা বললে আমি এগিয়ে আসব। টিবির ( বেইলিস) সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। আমি কয়েক খেলোয়াড়কে চিনি, তারা আমার খেলা নিয়ে জ্ঞানটা জানে, আমি কি দিতে পারি তাও জানে। "

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বল টেম্পারিং কান্ডে জড়িত ছিল ওয়ার্নারের আরও দুই সতীর্থ স্টিভেন স্মিথ এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট। স্টিভেনকে দুই বছরের নির্বাসন দেওয়া হলেও ওয়ার্নারের উপর দেওয়া হয় আজীবনের নির্বাসন।